আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবার ভোরে আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২৭ জন।
হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খবর আলজাজিরার।
জাতিগত শিয়া সংখ্যালঘু হাজরা গোষ্ঠী অধ্যুষিত কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এ গোষ্ঠীর লোকেরা অতীতেও জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট) এবং অন্যদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, সরকারি তথ্যানুযায়ী হামলায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রবেশিকা পরীক্ষা চলার সময় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে আফগানিস্তানে সাধারণত শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।
এদিকে হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন তালেবানের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে ছাত্রীরাও রয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। এর পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দাবি করেছিল যে, তারা কয়েক দশকের যুদ্ধের পর দেশকে সুরক্ষিত করছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে বহু মসজিদ এবং বেসামরিক এলাকায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।