নির্বাচন ব্যতীত অন্য কোনো চোরাগলি দিয়ে সরকারকে উৎখাত করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন তিনি।
সরকারকে সরাতে না পারলে জাতির অস্তিত্ব থাকবে না—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের অস্তিত্ব, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়।
কাজেই এ দেশের অর্থবহ অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রপ্রহরী আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর আজ প্রতিষ্ঠিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আর্থসামাজিক ও ভূরাজনৈতিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবস্থান অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও সুসংহত হয়েছে। তিনি বিবৃতিতে বিএনপির উদ্দেশে বলেন, বরং বিরোধিতার নামে তারাই এ দেশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জাতির অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে ছিল, আছে এবং থাকবে। বরং হঠকারী রাজনীতির জন্য বিএনপির অস্তিত্ব টিকে থাকবে কি না, সেটাই আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওবায়দুল কাদের তাঁর বিবৃতিতে আরও বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মতো পাশবিক মানসিকতা লালন-পালনকারী বিএনপি এবং ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটনকারী অপরাধী খুনি তারেক রহমান ও তাঁর দলের নেতারাই হলো এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রধান প্রতিবন্ধক।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনাই বিএনপির আন্দোলন, এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের পলাতক আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধাটা দিচ্ছে কে? বরং আওয়ামী লীগ এবং সরকারও চায় তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে কৃত অপরাধের শাস্তি কার্যকর করা হোক।
কাদের বলেন, বুকে সৎসাহস থাকলে সে দেশে ফিরে আসুক, এ জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ—বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে দলটির মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে কি বিএনপি বিরোধী দল হিসেবে সফল? আন্দোলন ও নির্বাচনে যাদের ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নেই, তাদের মুখে এ কথা মানায় না।