পদ্মা ও মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৩৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান।
এরআগে রোববার দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণও মিলেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে সেলিম খানের নামে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ সম্পদের দালিলিক মূল্য অনুযায়ী মোট সম্পদের হিসাব করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তিনি সম্পদের দাম কম উল্লেখ করে দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। প্রকৃত ও বাজারমূল্য অনুযায়ী তার নামের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বালুখেকো হিসেবে পরিচিত সেলিম খানের বিরুদ্ধে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়া উত্তোলন করা বালু বিক্রির অর্থ ভাগবাটোয়ারা করেছেন তার এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাঝে। তিনি তার মালিকানাধীন সেলিম এন্টারপ্রাইজের ২০০টি ড্রেজারের মাধ্যমে প্রায় এক দশক ধরে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগও রয়েছে।