চলতি মাসেই জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
তারা বলেছেন-জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখাও দেয়া হবে।
জামাত বৃহত্তর ঐক্য গঠনে কোন বাধা হবে না বলেও তারা মনে করছেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, বৃহত্তর ঐক্যে জামাতকে নিয়ে টানাপোড়েনের যে কথা শোনা যাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গণে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়- ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও বি চৌধুরীর ত্রিদলীয় যুক্তফ্রন্ট এবং বিএনপির সমন্বয়ে কখন গঠিত হচ্ছে জাতীয় বৃহত্তর ঐক্য।
এই বৃহত্তর ঐক্য আদৌ পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে কিনা- এ নিয়ে যুক্তফ্রন্টসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলের কোনো কোনো নেতা বিতর্কিত নানা বক্তব্যও দিচ্ছেন।
যেখানে বিএনপির অন্যতম শরিক জামাতকে বড় ইস্যু করা হচ্ছে। আবার জাতীয় বৃহত্তর ঐক্য নিয়ে লিয়াঁজো কমিটিও গঠন করা হয়েছে-এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে রাজনীতির মাঠে।
বিএনপি নেতারা বলেন-চলতি মাসের মধ্যেই জাতীয় বৃহত্তর ঐক্য একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। একইসঙ্গে এই বৃহত্তর ঐক্যের মতামতেই নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেয়ার পরিকল্পনা বিএনপির।
সরকারের মামলা-হামলার কারণে নির্বাচনী গণসংযোগের মত কর্মসূচি বিএনপি দিতে পারছে না অভিযোগ তুলে, বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমেই পরবর্তী কার্যক্রমের পরিকল্পনা আছে বলেও জানান নেতারা।
বৃহত্তর ঐক্য গঠনে জামাত কোন বাধা হবে না জানিয়ে নেতারা ওই ঐক্যে জামাতের না থাকার বিষয়টিও বিএনপি নেতারা পরিস্কার করে দেন।
সময় এবং পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এদিকে, গতকাল রাতে সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচিতে রাজপথে নামতে একমত হওয়ার কথা জানান বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা।
রোববার রাতে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় তিন পক্ষের নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্যের ৫ দফা দাবির সঙ্গে একমত হয়েছে বিএনপি।
সেখানে প্রথম দফায় রাজবন্দীদের মুক্তির বিষয়টির শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।
দেড় ঘণ্টার এ বৈঠকে ঐক্য প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে রাজপথে আন্দোলনে নামার ওপর জোর দেন বিএনপি নেতারা।
জামাতকে বাদ দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বাকি ১৯ দলকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
আর আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন এ তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না করলে ঐক্য প্রক্রিয়া কার্যকর লক্ষ্যে এগুবেনা বলে অভিমত দেন যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা।
আজ-সোমবার আ স ম আব্দুর রবের বাসায় পরবর্তী বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এরইমধ্যে নির্বাচনে বিএনপি ১০০টি আসন দেয়ার কথা বললেও তাতে আস্বস্ত হতে পারেছেন না যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা।
তারা দেড়শো আসনের ব্যাপারেই জোর দেবেন।
বৈঠকে বিকল্প ধারার সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ছিলেন না।