আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়— জানিয়ে বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের সকল দাবি আদায়ে একমাত্র পথই হচ্ছে আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে চলছে মামলা। আয়োজন করা হচ্ছে গণশুনানির।
তবে নেতারা বলেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের নীতিগত সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নেন সেটি হবে তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
এ ব্যাপারে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বড় বিপর্যের পরে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করলেও সরকারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত বড় কোন কর্মসূচি দিতে পারেনি বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট।
নির্বাচনের পরে পরাজিত প্রার্থীদের অনিয়মের অভিযোগ এনে নিজ নিজ আসনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার সিদ্ধান্ত হলেও বিষয়টি অনেকটা স্থগিত অবস্থায় ছিল বেশকিছুদিন।
এরইমধ্যে এ নিয়ে পুনরায় স্কাইপীতে প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর গত সোমবার থেকে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রায় ৭০ জনের বেশি প্রার্থী।
এছাড়া ভোট ডাকাতির চিত্র তুলে ধরতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গণআদালতের অবয়বে গণশুনানির উদ্যোগও নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। উদ্দেশ্য একাদশ নির্বাচনের অনিয়মের চিত্র জনগণ ও বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা।
এভাবেই ধীরে ধীরে কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে চায় বিএনপি। দলের নেতারা বলছেন-এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনেই যাবে না তারা। লক্ষ্য একটাই কার্যকরী আন্দোলন।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে যদি কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন সেটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে নেতারা বলেন, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে দলীয় কঠোর কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে তৃণমুলের নেতারা বলছেন-বিএনপিতে যাদের কোন পদপদবী নেই তারা যদি উপজেলায় অংশ নেন সেক্ষেত্রে খুব বেশি সমস্যা থাকার কথা না।
নির্বাচনটাকে এখন আর আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে কোন লাভ নেই উল্লেখ করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।